সেই রিয়াদই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টপ স্কোরার
বিবিসি২৪নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: ৮ নম্বরে নেমেও রান করার অদম্য স্পৃহা বুকে ৪৯ বলে ৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি। দেখিয়ে দেন, জানিয়ে দেন এবং বুঝিয়ে দেন- যেখানেই খেলানো হোক না কেন, আমার রান ক্ষুধা আছে। আমি রান করতে চাই। নিজেকে মেলে ধরতেও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমি।
এ কারণে আট নম্বরে নেমে বোলারদের সাথে নিয়েও রান করে গেলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর পর্যায়ক্রমে ৭ নম্বর থেকে ৬-এ প্রমোশন পান। এরপর ভারতের শক্তিশালী বোলিংয়ের বিপক্ষে সমান তিনটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারিতে ৩৬ বলে ৪৬, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১১ বলে ৪ ছক্কা ও ১১ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১১১, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২০, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭০ বলে ৫৬, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২২ আর সর্বশেষ শনিবার পুনেতে শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ২৮ বলে তিন ছক্কায় ৩২ রানের এক আক্রমণাত্মক ইনিংস উপহার দেন রিয়াদ।
সবচেয়ে বড় কথা, যেদিন যেখানে তাকে খেলানো হয়, প্রতিটি পজিসনে ভাল খেলে রান করেন রিয়াদ। এর মধ্যে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৬ নম্বরে নেমে শতরান করে রীতিমত সবাইকে লজ্জায় ফেলে দেন।
রিয়াদ উপাখ্যানের সেটাই শেষ নয়। শেষ পর্যন্ত সবাইকে ভুল প্রমাণ করে বর্ষিয়ান রিয়াদই এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে টপ স্কোরারও হয়েছেন। ব্যাটে মোটামুটি ধারাবাহিকভাবে ছিল। তার ব্যাট থেকে ৮ ম্যাচের ৭ ইনিংসে একটি শতক ও অর্ধশতকসহ এসেছে মোট ৩২৮ রান।
শুধু রান করায়ই নয়, ব্যাটিং গড় (৫৪.৬৬) ও ছক্কা (১৪ টি) হাঁকানোয়ও ব্যাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবার ওপরে রিয়াদ। তরুণ বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (স্ট্রাইকরেট ৯৫.৩৯) ছাড়া বাকি ব্যাটারদের চেয়ে স্ট্রাইকরেটটাও রিয়াদেরই (৯১.৬২) বেশি। রান তোলায় রিয়াদের পরে দ্বিতীয় স্থানটি লিটন দাসের (২৮৪)। তৃতীয় স্থানে নাজমুল হোসেন শান্ত (২২২)। এরপর মুশফিকুর রহিম (২০২) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (২০১)।
আগের বিশ্বকাপে ৬০৬ রান করা সাকিব আল হাসান এবার সুপার ফ্লপ। ৭ ম্যাচে অধিনায়ক সাকিবের সংগ্রহ ১৮৪ রান। এছাড়া দুই তরুণ উইলোবাজ বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ তামিম (৯ ম্যাচে ১৪৫) ও তাওহিদ হৃদয়ও (৭ খেলায় ১৬৪) সুবিধা করতে পারেননি।