বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশে সহিংসতা, হয়রানি, গ্রেপ্তার কোনোটাই চায় না জাতিসংঘ
বাংলাদেশে সহিংসতা, হয়রানি, গ্রেপ্তার কোনোটাই চায় না জাতিসংঘ
বিবিসি২৪নিউজ,ফরিদা ইয়াসমিন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি : নির্বাচনের আগে কোনো সহিংসতা, গ্রেপ্তার বা হয়রানি দেখতে চায় না জাতিসংঘ। গতকাল বুধবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন বাংলাদেশি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির প্রসঙ্গ তোলেন। গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে তিনি জানতে চান, জাতিসংঘ মহাসচিব কি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছি।
আমরা এই পর্যায়ে কোনো সহিংসতা বা অযৌক্তিক গ্রেপ্তার বা হয়রানি না দেখার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছি।’
এর আগে গতকাল বুধবার বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের বিবৃতির আপত্তি জানায় সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের বিবৃতিতে উল্লিখিত তথ্য সঠিক নয়। বাংলাদেশ সরকার ত্রুটিপূর্ণ এই বিবৃতির প্রতিবাদ জানাবে।
’
গত রাতেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর তাদের আগের বিবৃতি সংশোধন করে সঠিক তথ্য তুলে ধরবে। না হলে প্রতিষ্ঠানটি গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গত সোমবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতে ৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র লিজ থ্রসেল পরদিন গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ সংখ্যা ১১ বলে উল্লেখ করেন।
বস্তুত ঢাকায় গত শনিবারের সংঘাতের সময় পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের এক স্থানীয় নেতার মৃত্যু হয়। পরদিন রবিবার হরতালে ১৩ জেলায় সহিংসতায় চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে দুইজন পৃথক ঘটনায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। গত মঙ্গলবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধের প্রথম দিন আরো চারজন নিহত হন।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের মুখপাত্রের দেওয়া বিবৃতিতে হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে সহিংসতায় সরকার সমর্থিত ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততারও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের বিবৃতির বর্ণনা বেশ ত্রুটিপূর্ণ, বাস্তবতাবিবর্জিত। আমরা এর একটা প্রতিবাদ পাঠাব। আমরা মনে করি, তাঁরা যথাযথভাবে অবহিত নন।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের তথ্যে ঘাটতি আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে ঘাটতি থাকা খুবই দুঃখজনক।’