সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | মিডিয়া ওয়াশ | রাজনীতি | শিরোনাম » বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠন, সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসী সংগঠন, সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না: তথ্যমন্ত্রী
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ৭ম খণ্ড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির অবরোধের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতারা আসলে কতটা ভিতু। ২৮ অক্টোবর কর্মীরা যাওয়ার আগেই নেতারা পালিয়ে গেছেন। নেতারা পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরাও পালিয়ে যান। আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, সারা জীবন বিরোধী দলের কর্মী ছিলাম। আমরা রক্তাক্ত হয়েছি, পালিয়ে যাইনি। বিএনপি নেতারা সামনে আসতেই ভয় পান, সেজন্য তারা ভার্চ্যুয়ালি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।’
আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে কি না, এ প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন সন্ত্রাসী দল, সন্ত্রাসী সংগঠনে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে। যারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালায়, অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়, যারা পুলিশ হত্যা করে, তারা কখনও রাজনৈতিক দল হতে পারে না। আওয়ামী লীগ যে কারো সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে আলোচনা করতে পারে। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে, যারা দেশের সংবিধান মানে, আইন ও বিচার ব্যবস্থা মানে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার প্রশ্নই ওঠে না।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। রোববার তারা সারাদেশে হরতাল ডেকেছিল। হরতাল সফল করার জন্য আবারও আগুন সন্ত্রাসের খেলায় মেতেছে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে গাড়িচালকদের হত্যা করা হয়েছিল। শনিবার রাতেও ডেমরায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে, সেই আগুনে বাস ও বাসের হেলপার পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলাম। ঢাকায় কমপক্ষে দেড়-দুই লাখ মানুষ সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিল। এত উসকানির মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা কোনো উসকানিতে পা দেননি। তারা আমাদের নারী কর্মী থেকে শুরু করে অনেককে মারধর করেছেন। নারীদের কাপড় ধরেও টানাটানি করেছেন। দেড় কিলোমিটার দূরে এত তাণ্ডব চালালেন। আমাদের নেতাকর্মীরা কিন্তু সেখানে যাননি, আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম।’
লালমনিরহাটে শ্রমিক লীগের এক কর্মীকে বেএনপি কুপিয়ে হত্যা করেছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিতে গিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি কর্মী একটি ভবনে উঠেছিলেন, সেখান থেকে লাফ দিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে, বিএনপি বলে শহীদ হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গত শনিবারের সহিংসতার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিন্দা জানিয়েছে। আমরা মনে করি সহিংসতা বন্ধ করার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতিতে এটিও বলা হয়েছে সহিংসতার ভিত্তিতে ভিসা নীতি নিয়েও তারা ভাববে। যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, পুলিশ হত্যা করেছে, জনগণের সম্পত্তি পুড়িয়েছে, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিকিৎসক এনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি তো বলেছিল খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তাকে রক্ষা করা যাবে না। এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছে, খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন। এজন্য আমিও স্বস্তি প্রকাশ করছি। সরকারই মার্কিন চিকিৎসকদের আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।