মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » জাতীয় | প্রিয়দেশ | বিশেষ প্রতিবেদন | শিরোনাম » প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুতে রেল উদ্বোধন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ
প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুতে রেল উদ্বোধন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ
বিবিসি২৪নিউজ,বিশেষ প্রতিবেদক ঢাকা: বাংলাদেশের বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ডিজিটাল সুইচ টিপে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছান। এর আগের সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উদ্বোধন হওয়ায় এ অঞ্চলে যোগাযোগের নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।
উদ্বোধনের পর মাওয়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফরিদপুরের ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীপরিষদ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের যাত্রী হওয়ার কথা রয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা ১৪টি কোচ দিয়ে ট্রেনটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একাধিকবার যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত অন্তত ৬ বার ১০ কোচের একটি ট্রেনের ট্রায়াল হয়েছে। সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়েছে এই রুটে। প্রধানমন্ত্রী ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশনে নেমে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ডা. কাজী ইউসুফ স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই রেলে আমূল পরিবর্তন আসছে। ১০ অক্টোবর মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনের কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রুটে পুরোদমে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ট্রেন চালানো হবে। মোংলা বন্দরকে যুক্ত করা এই রেলপথ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসব।
এদিকে নতুন রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘিরে মাওয়া ও ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, স্টেশন চত্বর ও লাইনের দু’পাশ রাঙিয়ে তোলা হয়েছে। যে ট্রেনটিতে প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দ চড়বেন, সেটিরও সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে গত কয়েকদিন আগেই। ব্রডগেজ ট্রেনটি ১০টি কোচ নিয়ে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাবে। প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্রেনটির দুপাশে দুটি ইঞ্জিন এবং মাঝখানে দুটি পাওয়ারকার যুক্ত থাকবে।