বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা ইস্যুতে নীতিগতভাবে একমত
বাংলাদেশ-ভারত তিস্তা ইস্যুতে নীতিগতভাবে একমত
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিনিধি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের এমপি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তিস্তা ইস্যুতে নীতিগতভাবে বাংলাদেশ-ভারত একমত। কিছু কারণে আটকে আছে, সময়মতো সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত শুধু ডিপ্লোমেটিক নয়, সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে একসঙ্গে কাজ করছে। বড় সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে। উভয় দেশ সম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য-সংস্কৃতির উন্নয়ন এগিয়ে নিচ্ছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটের একটি হোটেলে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিবছরের মতো এবারও এই সংলাপ হচ্ছে। আগামী দিনে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ভিসামুক্ত সম্পর্ক চায়। দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া সমাধানের পাশাপাশি ভিসামুক্ত ভারত-বাংলাদেশ দুদেশেরই প্রত্যাশা।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আত্মার। বাংলাদেশ যে উন্নয়নের পথে হাঁটছে, সেই উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে ভারতসহ আঞ্চলিক উন্নয়ন জরুরি। এটা পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব না। এ সময় তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে নানা উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতের সাবেক মন্ত্রী এম জে আকবর, ভারতের সংসদ-সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ভিনসেন্ট পালা, সাবেক সংসদ-সদস্য স্বপন দাস গুপ্ত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও আয়োজক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এএসএম শামছুল আরেফিন।
এর আগে তিন দিনব্যাপী এ সংলাপের উদ্বোধন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে ৬ জন মন্ত্রী, ২০ জন সংসদ-সদস্যসহ জাতীয় নেতারা অংশ নিচ্ছেন। অপরদিকে ভারত থেকে ১৪০ জনের প্রতিনিধিদল সিলেটে এসেছে।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি। ৭ অক্টোবর সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি এবং সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি।