বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা: বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ব্রিটেনের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পঞ্চম ইউকে-বাংলাদেশের কৌশলগত সংলাপে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
এখানে ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সংলাপে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও নিরাপত্তা বিষয়সহ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্কের পূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং এফসিডিও’র স্থায়ী আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে সহ-সভাপতিত্ব করেন।
সি বার্টনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংলাপে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের প্রতিফলন এবং আমাদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে।’
সংলাপে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিবর্তনকে স্বাগত জানায়, যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করার মতো বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অগ্রাধিকারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগকারী হিসাবে যুক্তরাজ্য এই বছরের শুরুতে দ্বিতীয় বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংলাপকে এবং মে মাসে স্বাক্ষরিত অ্যাভিয়েশন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ স্বাগত জানায়।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের আগে পারস্পরিক সমৃদ্ধি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের উদার উন্নয়নশীল দেশ বাণিজ্য প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে একীভূত করতে, শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে এর ভূমিকা স্বীকার করেছে।
যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ অভিবাসন এবং প্রত্যাবর্তন এবং ন্যায়বিচার ও স্বরাষ্ট্র বিষয়ক অন্যান্য সমতার বিষয় নিয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় দেশ অক্টোবরের মধ্যে এই ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম অধিবেশনের আগে রিটার্ন ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরগুলো সমাপ্ত করতে সম্মতি প্রকাশ করে।