বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | এশিয়া-মধ্যপ্রাচ্য | পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » ভারতে জি২০ সম্মেলন: পুতিন ও শি জিনপিংয়ের না আসার সম্ভাবনা
ভারতে জি২০ সম্মেলন: পুতিন ও শি জিনপিংয়ের না আসার সম্ভাবনা
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী সপ্তাহে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। সম্ভবত এই সম্মেলনে যোগ দেবেন না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন না আসার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চীনে থাকা এক ভারতীয় কূটনীতিকি ও আরেক দেশের এক কর্তাব্যক্তির সূত্র থেকে বিষয়টি জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, সম্ভবত চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করবেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিয়ে চীন ও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
সারা বিশ্বের নজর এই জি২০ সম্মেলনের ওপর।
ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসার কথা জানিয়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভাবা হয়েছিল যে ফের মুখোমুখি হবেন শি জিনপিং ও বাইডেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা। গতবছর বালিতে জি-২০ সম্মলেন দেখা হয়েছিল তাদের। তারপর থেকে যদিও বিশেষ উন্নতি হয়নি দুই দেশের সম্পর্কে।
তাই এখানে ফের কথা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে, চীনের পক্ষ থেকে আগেই তাদের এই সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তবে কেন শি জিনপিং আসবেন না সেটা কেউ জানে না। গত সপ্তাহেই ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে চীন ও ভারতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা হয়েছে।
সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্টভাবে শি জিনপিংকে জানিয়ে দেন যে লাদাখে শান্তি ফেরাতে দুই দেশকেই তৎপর হতে হবে। আগের পরিস্থিতি ফেরাতে চীনের কী দায়িত্ব সেটাও বলে দেন তিনি। কিন্তু তারপরও চীন নিজেদের ম্যাপে আকসাই চীন ও অরুণাচলকে অন্তর্ভুক্ত করে। সেটা নিয়ে ইতোমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। তারপর বেইজিং বলেছে, এটা রুটিন বিষয়, এ নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর দরকার নেই।
সবমিলিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গালওয়ান পরবর্তী সময় সহজ হয়ে ওঠেনি এখনও। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জি২০ সম্মেলেন শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রসঙ্গত, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে দফায় দফায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হচ্ছে দিল্লিতে। সেখানে অনেক সময়ই বাকবিতণ্ডা হচ্ছে যৌথ বিবৃতি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে। ইউক্রেন প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু থাকলেই তাতে বাধা দিচ্ছে রাশিয়া ও চীন। এরপর নভেম্বর মাসে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কাউন্সিলের বৈঠক আছে। সেখানে আমেরিকা ও চীনের রাষ্ট্রনেতারা মুখোমুখি হন কি না, সেদিকেই নজর থাকবে বিশ্ববাসীর।