মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » আর্ন্তজাতিক | ইউরোপ | শিরোনাম | সাবলিড » রাশিয়ায় ‘সুপারসনিক বোম্বার’ ধ্বংস করল ইউক্রেন
রাশিয়ায় ‘সুপারসনিক বোম্বার’ ধ্বংস করল ইউক্রেন
বিবিসি২৪নিউজ,আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ড্রোন হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে একটি সুপারসনিক বোম্বার (যুদ্ধবিমান) ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। ধ্বংস হয়ে যাওয়া শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতির সেই যুদ্ধবিমানের ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেসব হামলার ছবি বিশ্লেষণ করে বিবিসিতে একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের দক্ষিণ সোলতসি-২ বিমানঘাঁটিতে একটি তুপোলেভ টিইউ-২২ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হতে দেখা গেছে।
এ ঘটনার বিষয়ে মস্কো জানিয়েছে, তারা একটি ড্রোন দেখতে পেয়ে সেটি লক্ষ্য করে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেটি এই সুপারসনিক বোম্বারের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়।
মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, এ ঘটনার পরে মস্কো অঞ্চলে দুইটি আক্রমণকারী ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তের উত্তর-পূর্বে ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে আরও দুইটি ড্রোন আটকানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে তারা আরও জানায়, মস্কোর স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে ‘কপ্টার-আকারের ড্রোন’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। এতে একটি উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া সেখানে ছড়িয়ে পড়া আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলেও দাবি করছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, যুদ্ধবিমানটিতে ব্যাপকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। বিবিসি সেসব ছবি বিশ্লেষণ করে যাচাই করেছে।
এদিকে ইউক্রেন এ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সম্প্রতি মস্কোয় হামলা চালাতে কয়েক ডজন ড্রোন পাঠায় কিয়েভ। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে সর্বশেষ হামলা চালানো সোলতসি-২ বিমানঘাঁটির দূরত্ব প্রায় ৪০০ মাইল।
উল্লেখ্য, ধ্বংস হয়ে যাওয়া টিইউ-২২ যুদ্ধবিমানটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ছুটতে পারে। ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা চালাতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে আসছে রাশিয়া। তাদের কাছে থাকা ৬০টি টিইউ-২২ যুদ্ধবিমানের বহরে একটি ধ্বংস হওয়ায় তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাশিয়ার ভূখণ্ডের অনেকটা ভেতরে গিয়ে হামলা চালানোর বিষয়টিতে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা।