বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » পরিবেশ ও জলবায়ু | শিরোনাম | সাবলিড » জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনো বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি:আইএফআরসির প্রতিবেদন
জলবায়ু পরিবর্তন ও এল নিনো বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি:আইএফআরসির প্রতিবেদন
বিবিসি২৪নিউজ,নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় দেশগুলোয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ নতুন কিছু নয়। তবে সাগরের উষ্ণ স্রোত প্রবাহের বিশেষ রূপ এল নিনোর কারণে নতুন করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতি বৃষ্টির মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশকে। ফলে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যোগ হয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফআরসি) মনে করছে, এল নিনো ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল আটটি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে।
বুধবার সংস্থাটি থেকে বাংলাদেশের ঢাকা, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর ও চীনের বেইজিং থেকে একযোগে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ডেঙ্গু ও ঘূর্ণিঝড়ের সমস্যায় পড়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায়ও ডেঙ্গু সমস্যা তীব্র হয়েছে। মঙ্গোলিয়া একই সঙ্গে বন্যা ও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। বন্যার আঘাত বিপর্যস্ত করে তুলছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে।
আইএফআইসি বাংলাদেশের প্রধান সময় কারনে বলেন, আমরা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় গভীরভাবে কাজ করছি। এরই মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালের অধিবাসীদের সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হতে দেখছি। এই তিন শহরের ৮৫টি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গুপ্রবণ বা হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরি এবং জীবন রক্ষার জন্য আমরা সব ক’টি এলাকায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসছে সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত এসব সমস্যা আরও তীব্রতর হতে পারে। এতে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যা আরও তীব্রতর হতে পারে। মূলত প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় এল নিনো নামে আবহাওয়ার এক বিশেষ অবস্থা তৈরি হওয়ায় সমস্যা বাড়তে পারে। এল নিনো তৈরি হলে সাগরের মাঝ বরাবর একটি উষ্ণ স্রোত তৈরি হয়।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে এল নিনোর প্রভাবে গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টি কম হয়েছে। তাপপ্রবাহ সর্বকালের রেকর্ড ভাঙে ওই সময়। কিন্তু আগস্টের শুরু থেকে হঠাৎ বৃষ্টি বেড়ে গেছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আবহাওয়া চরম আচরণ করছে। অর্থাৎ গরমের সময় তীব্র তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টির সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি হবে।