রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » আমেরিকা | পরিবেশ ও জলবায়ু | প্রিয়দেশ | শিরোনাম | সাবলিড » তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়: আজরা জেয়া
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়: আজরা জেয়া
বিবিসি২৪নিউজ,কূটনৈতিক প্রতিবেদক ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়াচ্ছে এমন ধারণা সম্পর্কে জানতে চাইলে আজরা জেয়া বলেন, “আমি আপনার উপলব্ধি সম্মানের সঙ্গে সংশোধন করবো। যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিয়েই এই সফর। আমরা মনে করি, এই অংশীদারিত্ব অভিন্ন গণতান্ত্রিক নীতি এবং মানবাধিকারের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, সমগ্র এশিয়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রণী উন্নয়ন অংশীদার।”
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
কক্সবাজারে ‘অত্যন্ত মর্মস্পর্শী’ সফর প্রসঙ্গে আজরা জেয়া বলেন, “ আমরা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি এবং বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তা অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করেছি। ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি।”
তিনি বলেন, “পাশাপাশি আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়কে সহায়তা করার জন্য সম্মিলিতভাবে কী করা যায় সে সম্পর্কে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা দীর্ঘ আলোচনা করেছি। কক্সবাজারের জনগণকে সমর্থনকারী ব্যক্তিরাও আমাদের বৈঠকে ছিলেন।”
অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যে অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকে সমর্থন করে। সেই প্রত্যাবসন নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই হতে হবে। এখন দুর্ভাগ্যবশত, মিয়ানমারে এই পরিস্থিতি বিদ্যমান নেই। তাই আমরা বাংলাদেশ সরকারসহ সমমনা অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।”
আজরা জেয়া বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রত্যাবাসন না করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সরাসরি প্রতিশ্রুতি পেয়ে আনন্দিত হয়েছি।” বার্মা অ্যাক্ট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এটিকে জবাবদিহির একটি অতিরিক্ত হাতিয়ার হিসাবে দেখি; যা প্রেসিডেন্টকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে এমন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দেয়। আমরা এই জবাবদিহি সরঞ্জামগুলোকে গণতান্ত্রিক পথ পুনরুদ্ধারের জন্য বার্মার শাসকদের উপর খোলাখুলিভাবে চাপ বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবে দেখি।”